ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আধুনিকায়নে ছোঁয়া  লেগেছে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

আবু আব্বাস সিদ্দিকী,  কুতুবদিয়া :: 

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার একমাত্র স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আধুনিকায়নের ছোঁয়া লেগেছে। গত ২০ মার্চ (বুধবার) সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে,  হাসপাতালের উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের বিভিন্ন চিত্র চোখে পড়ে। এসবের পেছনে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন কুতুবদিয়া মহেশখালী আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক। তার আপ্রান প্রচেষ্টায় কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন ডাক্তার, নতুন এম্বুল্যান্স নতুন নার্স যোগদানের ফলে হাসপাতালে সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ৬ জন ডাক্তার, ২০ জন নার্স,  ৩ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে উন্নত সেবা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালে প্যাথলজি পরিক্ষা,  ইসিজি পরিক্ষা,  নরমাল ডেলিভারি, বহিঃ বিভাগ ও আন্তঃ বিভাগ চালু রয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতালের ২য় তলায় আধুনিক ও উন্নত যন্ত্রপাতি সম্বলিত ডেলিভারী রুম চালু করা হয়েছে। সেখানে ২৪ ঘন্টা নিবিড়  পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ডেলিভারী সেবা দিয়ে যাচ্ছে কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্সরা। এতে করে হাসপাতালে পূর্বের তুলনায় অধিক ডেলিভারী রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও হাসপাতালে নতুন ভবনের সামনে নতুন ভাবে নির্মিত হচ্ছে জরুরী বিভাগ। যেখানে ২৪ ঘন্টা বিভাগটি খোলা রেখে চিকিৎসা সেবা দেবে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্য কর্মচারীরা।

এছাড়াও হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। এব্যাপারে হাসপাতালে বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের মরিয়ম খাতুন জানায়, হাসপাতাল আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে।আগেরমত হাসপাতালে এসে দীর্ঘক্ষন সেবা নিতে অপেক্ষা নিতে হয় না। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা অনেক সহজতর হয়েছে। ওযার্ড়ে ভর্তিরত আমেনা বেগম জানায়, গত ১৮ মার্চ বিকালে ডায়রিয়া রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন তিনি। দুইদিন চিকিৎসার পর রোগের উন্নতি হওয়ায় আজ বিকালে বাড়ীতে চলে যাবে বলে জানায়। এব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃক কর্মকর্তা ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দ্বীপে দেড় লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা,  নার্স না থাকলেও যে কজন আছে তাদের নিয়ে আমরা ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিশেষ করে আমি কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বিভিন্ন নিয়মনীতির মধ্যে এনে ঢেলে সাজিয়ে রোগীদের অভাব অভিযোগ পুরন করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। হাসপাতালের রোগীরাও এখন সন্তুষ্ট। রোগীর সংখ্যা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালের সার্বিক উন্নতির সাধিত হয়েছে। সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এর আন্তরিক সহযোগিতায় হাসপাতালে আধুনিক উন্নত যন্ত্রপাতি সম্বলিত ডেলিভারী রুম চালু করা হয়েছে। পুরাতন ভবন থেকে নতুন ভবনে নতুন জরুরী বিভাগ নির্মিত হচ্ছে। হাসপাতালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং হাসপাতালে চতুর্পাশে আলোকসজ্জা সজ্জিত করন করা হয়েছে। সেবার মান দিয়ে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ককসবাজার জেলায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে এবং সারা বাংলাদেশের র‍্যাংকিনে ১১৫ তম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। হাসপাতালের সেবার মান আরো বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসক,  নার্স সংকট নিরসনের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন পাশাপাশি এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

যদি একটি এক্সরে মেশিন ডাক্তার ও নার্সদের থাকার সুব্যবস্থা করা যায়, তাহলে সেবার আরো উত্তরোত্তর উন্নতি হবে মনে করে এলাকার সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত: